‘মারজুক রাসেল কেডায় আসলে?’ প্রশ্নের উত্তরে ফারুকীর কড়া জবাব

|

মারজুক রাসেলকে উদ্দেশ্য করে লেখক ও শিক্ষক আফজার হোসেনের দেয়া স্ট্যাটাসের কঠোর সমালোচনা করলেন নির্মাতা মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী।

এ প্রসঙ্গ টেনে ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি লিখেন-

‘ফেসবুকে মতামত দেয়া থেকে বিরত আছি বহুকাল। কিন্তু একটা বিষয়ে হৈচৈ দেখে কথা না বলে পারলাম না। মারজুক রাসেলের কবিতার বই বিক্রি হচ্ছে। এটা নিয়ে অনেকেই তাদের বিরক্তি প্রকাশ করছেন। মারজুক আমার গভীর গোপনতম ভাই ব্রাদার। শুরুর দিকে ও যখন আমার সাথে থাকতে শুরু করে তখন থেকেই ওর উপর এলিটিস্ট অবজ্ঞা দেইখা আসতেছি। প্রথম থেইকাই এই অবজ্ঞারে ঝাঁটা মারাকে আমার পবিত্র দায়িত্ব হিসাবে আমি তুইলা নিছিলাম। সেটা করছি কোনো কথা না বইলা! একসাথে কাজ করার মধ্য দিয়া।

এই অবজ্ঞার আরেকটা নমুনা দেখলাম আজফার হোসেনের পোস্টে। সেখানে উনি মারজুক রাসেল কেডা এটা জানতে চাইছেন। তা জানতে চাইতেই পারেন। না জানলে জানতে চাওয়াটা দোষের কিছু না। কিন্তু এই ধরনের পোস্টের উদ্দেশ্য যে “জানতে চাওয়া” না হইয়া “তুচ্ছ করতে চাওয়াও” হইতে পারে এটা আজিকার শিশুরাও বোঝে। আজফার ভাইয়ের কাজ কর্মের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। সত্যিই যদি উনি জানতে চাইতেন তাহলে কাউরে জিগাইলেই পারতেন। বা ওর দুয়েকটা কবিতা ঘাইটা পড়লেও পারতেন। পড়ার পর উনার ভালো লাগতে পারতো, খারাপও লাগতে পারতো। উনি ভাবতেই পারতেন এই কবিতার বই কেনার কী আছে। মানুষের হরেক রুচি। কারো এইটা ভালো লাগে, তো আরেকজনের ঐটা ভালো লাগে। কেউ স্ট্রেট, কেউ গে।

কিন্তু এইটুকু পরিশ্রম না কইরা “জানতে চাওয়া” বিষয়ক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে আমার মনে হয় উনি কাউরে বাতিল করার এলিটিস্ট তরিকাটা অ্যাপ্লাই করলেন। উনার (এবং উনার মতো আরো অনুসন্ধিৎসুদের) সুবিধার্থে মারজুকের পরিচয় নীচে সংযুক্ত করা হইলো:
নাম: মারজুক রাসেল
মাতা: হোসনে আরা
পিতা: শেখ সিকান্দার
সাং: টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
জন্ম সময়: ১৫ আগস্ট, কোনো এক সময়।

সাপ্তাহিক এই সময়ের সহযোগী সম্পাদক সকৃত নোমান লিখেছেন, ‘মারজুক রাসেল আগে কবি, তারপর গীতিকার, তার পর অভিনেতা। তিনি যাপনও করেন কবিজীবন। এই তথ্যগুলো শ্রদ্ধেয় আজফার হোসেন যে কাউকে ফোন করে জেনে নিতে পারতেন। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানতে চাইলেন। এটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। পোস্ট দিয়ে তিনি জানতে চাইতেই পারেন। কিন্তু তার জানতে চাওয়ার মধ্যে বিদ্রূপ স্পষ্ট।’

এবারের বইমেলায় সর্বোচ্চ বিক্রির তালিকায় রয়েছে গীতিকার ও অভিনেতা মারজুক রাসেলের কবিতার সংকলন ‘দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর’।

ইতিমধ্যে ১০ হাজারের বেশি বই বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে এর প্রকাশনী সংস্থা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply