২১ বছর পর মৃত ব্যক্তির টাকা ফেরতে আদালতের রায়

|

কার গাফিলতি, গ্রাহকের নাকি ব্যাংকের? গাফিলতি যারই হোক, এ বিষয়টি সুরাহা করতে লেগেছে ২১ বছর। আদালতের রায়ে ব্যাংকের গাফিলতি প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তবুও নিজ হাতে তিনি টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। কিভাবে পাবেন? মামলার দীর্ঘসূত্রতাও তো আর জীবন-মৃত্যু আটকে রাখতে পারে না। মামলা চলাকালীন সময়েই ইহলোক ত্যাগ করেছেন বাদী ভিরগু জোগার্ধন।

ঘটনা ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৭ সালের। ভিরগু’র ব্যাংক হিসাব থেকে ৮৩,০০০ রুপি তোলা হয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে তিনি তো কিছুই জানেন না। এই বিষয়ে তিনি অভিযোগ জানালে ব্যাংক টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে। ব্যাংকের যুক্তি, ভিরগু স্বাক্ষরিত বিভিন্ন নামে ৬টি চেকে টাকা তোলা হয়েছিল।

ব্যাংকের এই যুক্তিও পুরোপুরি মিথ্যে ছিল না। কেননা, ভিরগু দেখেন তার চেক বইয়ের কয়েকটি পাতা নেই। অর্থাৎ তার চেক বই থেকে পাতা খোয়া গেছে, তার অজান্তেই।

এরপর ভিরগু’র অভিযোগ, ব্যাংক কোনো রকম নীরিক্ষা ছাড়াই চেকগুলো গ্রহণ করেছে। এবার ব্যাংকের অভিযোগ ছিল, ভিরগু’র গাফিলতিতে চেকের পাতা খোয়া যাওয়াতে এমনটি ঘটেছে।

কিন্তু ব্যাংকের এ যুক্তি মানতে চাননি তিনি। তাই টাকা ফেরত পেতে শেষমেষ মুম্বাই হাই কোর্টে মামলা করেন ভিরগু; পরে মুম্বাই সিভিল কোর্টে মামলাটি স্থানান্তারিত হয়।

আদালত বিষয়টি সুরাহা করতে হস্তাক্ষর বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেয়। হস্তাক্ষর বিশেষজ্ঞের মতে, ভিরগু’র স্বাক্ষরের সাথে অভিযুক্ত ৬টি লেনদেনে ব্যবহৃত স্বাক্ষরের মিল নেই। ফলে ব্যাংক কর্মকর্তার গাফিলতির জন্যই ভিরগুর টাকাগুলো খোয়া গেছে, এটি আদালতে প্রমাণিত হয়।

মামলার ২১ বছর পর ভিরগু’র পক্ষে দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় অনুসারে, ব্যাংককে ৬ শতাংশ সুদ সমেত ৮৩,০০০ রুপি বাদীকে ফেরত দিতে হবে। তবে পূর্ণাঙ্গ রায়ের আগেই মৃত্যুবরণ করেন ভিরগু। তাই সমুদয় অর্থ তার জীবিত স্ত্রী এবং কন্যাকে সমান দুই ভাগে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

যমুনা অনলাইন: এএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply