ছোটদের বিশ্বকাপ জয়ের পরদিন বড়দের ইনিংস হারের লজ্জা

|

৯ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এই তারিখটি। প্রথমবারের মতো দেশকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেটাও আবার ভারতের মতো দুর্ধর্ষ দলের বিপক্ষে। কিন্তু এতে উজ্জীবিত হয়েও পাকিস্তানের মাটিতে ইনিংস হারের লজ্জা এড়াতে পারলো না জাতীয় দল।

প্রথম ইনিংসের চেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের আর বিবর্ণ টাইগারদের ব্যাটিং। ম্যাচের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয়েছে মাত্র ১৬৮ রানে। পেয়েছে ইনিংস হারের লজ্জা। এক ইনিংস আর ৪৪ রানে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট জিতে নিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। দ্বিতীয় দফার সফরেও পাকিস্তান থেকে লজ্জা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে মুমিনুল-তামিমদের।

গতকাল রবিবার নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১২৬ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ৪১-তম ওভারে নাসিম শাহ হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশের পরাজয় ত্বরান্বিত করেন। তার শিকার হন নাজমুল হোসেন শান্ত (৩৮), তাইজুল ইসলাম (০) এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (০)।

সোমবার চতুর্থ দিনের শুরুতেই অধিনায়ক মুমিলুন হককে (৪১) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শাহিন আফ্রিদি। লিটন দাস (২৯) আর রুবেল হোসেন (২৬ বলে ৫) কিছুক্ষণ লড়াই করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। লাঞ্চের আগে প্রথম সেশনেই ১৬৮ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। ৪টি করে উইকেট নিয়েছে নাসিম শাহ এবং ইয়াসির শাহ।

এর আগে, বাংলাদেশের ২৩৩ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রানে অল-আউট হয় পাকিস্তান। নেয় ২১২ রানের লিড। পাকিস্তানের হয়ে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকান শান মাসুদ (১০০) এবং বাবর আজম (১৪৩)। এছাড়া ১২৯ বলে ৬৫ রান করেন আসাদ শফিক। ৭৫ রান করেন হারিস সোহেল। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি এবং রুবেল হোসেন। ২ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।

মোহাম্মদ মিঠুনের ১৪০ বলে ৬৩ রান ছাড়া বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক মুমিনুলের ৩০ রান ও নাজমুল হোসেন শান্তের ১১০ বলে ৪৪ রানই ছিল বলার মতো স্কোর। ৫৩ রানে ৪ উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ২টি করে নিয়েছেন মোহাম্মদ আব্বাস আর হারিস সোহেল।

পরের দফায় আরও একটি টেস্ট খেলতে পাকিস্তান যাবে টাইগাররা। তাতে কী ভালো কিছু হবে? ছোটদের থেকে উৎসাহ নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো খুবই কঠিন?


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply