আবারো গুলি চললো জামিয়া’র ছাত্রদের উপর

|

নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে আবারও হামলার শিকার হলো দিল্লির জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর গেল চারদিনে এটি তৃতীয় আগ্নেয়াস্ত্র হামলা। জড়িতদের ব্যাপারে কিছু জানা না গেলেও এ নিয়ে পার্লামেন্টে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে মোদি সরকার। এ ঘটনায় মামলা হলেও, ঘটনাস্থলে বুলেটের খোসা মেলেনি- দাবি দিল্লি পুলিশের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুটারে চড়ে দু’জন এসে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে গেলো। হামলাকারীদের একজন লাল জ্যাকেট পড়া ছিল। গুলি করতে দেখেই আমরা ওদের ধাওয়া করি। কিন্তু ওরা চোখের পলকে পালিয়ে যায়।”

নেহরু-জামিয়ার মতো ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হামলার ঘটনায় অভিযোগের তীর বিজেপি সরকারের ছাত্র সংগঠনের দিকে। রোববার সন্ধ্যার হামলায় জড়িতদের ব্যাপারে তথ্য না মিললেও, বিষয়টি নিয়ে ফের উত্তপ্ত ভারতের পার্লামেন্ট।

ভারতের লোকসভা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, জামিয়ার শিক্ষার্থীদের ওপর সরকার জুলুম চালাচ্ছে। সরকারি গুণ্ডাবাহিনীর হামলায় বাচ্চারা চোখ হারাচ্ছে, গুলি করা হচ্ছে তাদের। মেয়েরাও মার খাচ্ছে। এতোকিছুর পরও লজ্জা নেই এই সরকারের।

কংগ্রেস নেতা আসিফ মোহাম্মদ খান বলেন, পুলিশকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে সারা দেশে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। সামনে হয়তো আরও খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে। সরকার হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় কিনা, তাতেই অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলে যাবে।”

মুসলিমবিদ্বেষী অভিযোগে ভারতজুড়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রবল বিরোধিতার মধ্যেই গেল ১২ ডিসেম্বর কার্যকর হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। বিজেপি সরকারের চোখরাঙানি আর প্রশাসনের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই দু’মাস ধরে রাজধানী দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ চলছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply