আমার সমালোচনার সময় পাবেন, আগে দেশ বাঁচান: মমতা

|

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বিতর্কিত ও বর্ণবাদী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কেরালা, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের পর এবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভায়ও প্রস্তাব পাস হয়েছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনা না করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বাম ও কংগ্রেসকে আন্দোলনে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

তাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, মোদি আর দিদি এক নয়! আমার বিরোধিতা করার জন্য ৩৬৫ দিন পাওয়া যাবে। এখন বিজেপির নীতির বিরোধিতা করুন একযোগে।

বিধানসভায় আনা প্রস্তাবে- সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর প্রত্যাহারের দাবি তোলা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে।

প্রস্তাবের সঙ্গে নীতিগতভাবে সহমত পোষণ করে বাম ও কংগ্রেস তাতে সমর্থন দিয়েছে। তবে আক্ষরিক অর্থে এ প্রস্তাব সর্বদল হয়নি।

বিধানসভার কার্যবিধির ১৬৯ ধারায় সরকারের পক্ষ থেকে পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার বিশেষ অধিবেশনে প্রস্তাব পেশ করেন, খসড়ায় বিরোধীদের সই করার সুযোগ ছিল না।

আবার বিধানসভায় আলোচনার সময়ে প্রত্যাশিতভাবেই বিজেপির স্বাধীন সরকার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন।

মমতা আসলে বুঝিয়ে দেন, সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে বিজেপি ছাড়া সব দলকে তিনি আন্দোলনে চাইছেন।

তার কথায়, আমার বন্ধুদের বলছি– সংবিধানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপব্যবহার করে বিদ্বেষমূলক কাজ করার চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপি দেশের সব কিছু ঠিক করে দেবে, সেটি হতে দেয়া যায় না।’

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজনেও তৎপর হয়েছেন মমতা।

সিএএর জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে, এই মর্মে একটি সংশোধনী মনোজ বাবুরা আনতে চাইলেও তা গৃহীত হয়নি। আলোচনায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ঝড়ঝাপ্টায় বড় গাছের ডাল ভাঙে। এখানে মুখ্যমন্ত্রীই সবচেয়ে বড় গাছ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply