শেরপুরে চলছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংসের হিড়িক, গড়ে উঠছে বসতি

|

শেরপুরে গারো পাহাড়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। এরমধ্যে ঝিনাইগাঁতীর রাংটিয়া রেঞ্জের দেড় হাজার একর বনভূমি বেদখল হয়ে গড়ে উঠছে স্থানীয়দের বসতি।

এদিকে বনভূমি ধ্বংসের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জীববৈচিত্র্যের ওপর।

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাঁতী-নালিতাবাড়ী ও শ্রীবর্দী উপজেলার প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সংরক্ষিত বন। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বিচারে চলছে বন উজার। কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। বেশি খারাপ অবস্থা রাংটিয়া রেঞ্জের। গেল কয়েক বছরে দখল হয়েছে সেখানকার প্রায় দেড় হাজার একর বনের জায়গা।

প্রতিনিয়ত বনভূমি ধ্বংসের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে জীববৈচিত্র্যের ওপর। দেখা দিচ্ছে আবাসস্থল সংকট। মারাও পড়ছে হাতি। সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে গারো পাহাড়। অভিযোগ আছে, শক্তিশালী একটি চক্র এর সাথে জড়িত। এ তালিকায় জনপ্রতিনিধি ছাড়াও রয়েছেন খোদ বন বিভাগের অসাধু কিছু কর্মকর্তা। এরইমধ্যে রাংটিয়া রেঞ্জের ৩২১ জন অবৈধ দখলদারের তালিকা করেছে বন বিভাগ।

ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়ারেজ নাঈম বলেন, বন বিভাগ যদি এদের উচ্ছেদ করতে চায় তাহলে সঠিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। মানুষগুলোতো এখান থেকে উচ্ছেদ হয়ে ঝিনাইগাতীর বাহিরে চলে যেতে পারবেনা।

শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক ড. প্রান্তোষ চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গা বেদখল আছে। আজ যারা এখানে বসবাস করছেন তারা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আছেন। যারা অভিযোগ করছেন যে আমাদের পূর্বপুরুষরা এখানে ছিল দেখা গেছে তাদের জায়গা ছিল ৪ শতাংশ তারা বর্তমানে বন বিভাগের ৪ একর জায়গা দখল করে বসে আছে।

এদিকে অবৈধ দখলদারদের তালিকা করায় সম্প্রতি প্রশাসনের বিরুদ্ধে উল্টো বিক্ষোভ মিছিলও করেছে দখলদাররা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply