ইরানকে দোষীদের শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে: ইউক্রেন

|

তেহরানে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানে ভুলবশত গুলি করে বিধ্বস্ত করার জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ দুর্ঘটনার ঘটনায় তিনি ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন।-খবর এএফপির।

এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমরা আশা করবো, যারা দোষী তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে ইরান। এছাড়া মরদেহগুলো ফেরত চাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন তিনি।

জেলেনস্কি বলেন, ইচ্ছাকৃত বিলম্ব কিংবা কোনো বাধা ছাড়াই তদন্ত এগিয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।

এদিকে ইরানের ভুলে চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনীয় যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, এতে গভীর অনুশোচনা, ক্ষমা ও শোকপ্রকাশ করেছে তারা দেশ।

এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, এটি একটি বেদনাদায়ক দিন। যুক্তরাষ্ট্রের হঠকারিতায় ডেকে আনা বিপর্যয়ের কারণেই মানবীয় ভুলে এই সংকট তৈরি হয়েছে।

‘আমাদের জনগণ, নিহতদের পরিবার ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশগুলোর কাছে আমরা অনুতপ্ত, ক্ষমাপ্রার্থী ও গভীর শোক প্রকাশ করছি।’

এদিকে চলতি সপ্তাহে তেহরানে ইউক্রেনীয় বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার জন্য যারা দায়ী, সামরিক আইনে অচিরেই তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। শনিবার ইরানি সামরিক বাহিনী এমন দাবি করেছে।

এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে তারা দাবি করেছে, ফের যাতে এমন ভুল না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনীর পর্যায়ে অভিযান প্রক্রিয়ায় মৌলিক সংস্কার আনা হবে।

১৭৬ আরোহী নিয়ে ইউক্রেনীয় বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ হিসেবে মানবীয় ভুলের স্বীকারোক্তি এসেছে ইরানের কাছ থেকে।

এর আগে তেহরানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে যে দাবি করা হয়েছে, তা অস্বীকার করেছে ইরান।

এক বিবৃতিতে ইরান সরকারের মুখপাত্র আলী রাবাই এমন কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এসব প্রতিবেদন ইরানের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। যেসব দেশের নাগরিক এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, তারা নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন। বিমানের ব্ল্যাক বক্স তদন্ত প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply