যেভাবে গ্রেফতার হলো ধর্ষক মজনু

|

রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় প্রথমে ক্লুলেস মামলা হিসেবেই তদন্ত শুরু করেছিল র‌্যাব ও পুলিশের গোয়েন্দা দল।

তারপর বিভিন্ন সূত্র ধরে অবশেষে আজ ভোরে অভিযুক্ত ধর্ষক মজনুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

র‌্যাবের দেয়া তথ্যমতে, মজনু হাতিয়া নোয়াখালী থেকে ১০ বছর আগে ঢাকায় জীবিকা নির্বাহ করার জন্য আসে। এসময় সে নিরক্ষর বলেও জানায় র‌্যাব।

জিজ্ঞাসাবাদে মজনু জানায় তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর নিজের খারাপ অবস্থার কারণে সে আর বিয়ে করতে পারেনি। এরপর থেকেই সে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী নারী এবং ভিক্ষুককে ধর্ষণ করেছে। একইসাথে মজনু একজন মাদকাসক্ত বলেও জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব জানায় প্রথমে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কুরাতলী এলাকা থেকে খাইরুল নামের এক ব্যক্তির নিকট হতে ধর্ষকের দ্বারা ছিনতাই হওয়া ভুক্তভোগীর মোবাইল উদ্ধার করা হয়। র‌্যাবের কাছে খাইরুল জানায় সে মোবাইলটি অরুণা বিশ্বাস নামে এক নারীর কাছ থেকে ক্রয় করেছে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব অরুণা বিশ্বাসকে আটক করলে অরুণা জানায় সে মোবাইলটি ডিসপ্লে ভাঙ্গা অবস্থায় মজনুর কাছ থেকে কিনে নিয়েছে। তারপর সে খাইরুলকে মোবাইলটি মেরামতের জন্য দেয়। এরপর অরুণার দেয়া তথ্য ও ভুক্তভোগীর দেয়া তথ্যের সাথে মিলিয়ে মজুর চেহারার মিল খুজে পায় র‌্যাব তারপরই অভিযান আরও বেগবান করে তারা।

তারপর আজ ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর শেওড়া রেলক্রসিং এলাকা থেকে মজনুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এসময় মজনুর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভুক্তভোগীর পাওয়ার ব্যাংক ও ব্যাগ উদ্ধার করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, ধর্ষণের পর সে মোবাইলটি বিক্রি করে এয়ারপোর্ট রেলস্টেশন, নরসিংদী রেলস্টেশন এবং বনানী রেলস্টেশনে আত্মগোপন করে পরবর্তীতে শেওড়াতে মোবাইল বিক্রির টাকা নিতে ফেরত আসলে র‌্যাবের জালে ধরা পরে।

র‌্যাবের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের মজনু এরআগেও একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। তবে এরআগে তার ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীরা। র‌্যাব জানায় গ্রেফতার হবার পর তার মাঝে এ ঘটনায় কোন অনুশোচনার চিহ্ন দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর ভুক্তভোগীকে মজনুর ছবি দেখানো হলে সে তাকে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply