ইরাকের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা হুমকি ‘খুব সহায়ক হবে না’: জার্মানি

|

বাগদাদ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রেক্ষাপটে ইরাকের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার হুমকি খুব সহায়ক হবে না বলে জানিয়েছে জার্মানি।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস ডয়েচফ্ল্যাংকফাংক রেডিওকে বলেন, আমি মনে করি না, যুক্তি বাদ দিয়ে হুমকির মাধ্যমে তিনি ইরাককে বোঝাতে পারবেন।

পরিস্থিতির উত্তেজনা বাড়লে ইরাক পুনর্নির্মাণের কয়েক বছরের চেষ্টা সব ভেস্তে যাবে বলেও তিনি হুশিয়ারি দেন।

জরুরিভাবে উত্তেজনা কমাতে আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। কিন্তু মাস স্বীকার করেছেন, মিত্রদের কাছ থেকে জোরালো সমর্থন আশা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

জার্মান, ফ্রান্স ও ব্রিটিশ সমকক্ষদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মাইক পম্পেও। এরপর হাইকো মাস বলেন, মার্কিন পদক্ষেপে আমরা শতভাগ সমর্থন দিইনি এতে তিনি স্পষ্টত খুশি না। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঐক্যবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করবে, যাতে পরিস্থিতি শান্ত হতে ভূমিকা রাখতে পারে।

এই জার্মান কূটনীতিক আরও বলেন, ইরাকে যুদ্ধ হলে আমাদের নিরাপত্তা স্বার্থ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কাজেই এখানে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে।

এদিকে মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উত্তেজনার মধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে শনিবার মস্কো যাচ্ছেন জার্মানির চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মেরকেল।

জার্মান সরকারের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।

সফরে তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাসও থাকবেন বলে জানা গেছে। বৈঠকে তারা বর্তমান সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন।

এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, আমাদের সব স্বার্থের জন্য হুমকি ছিলেন ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। কাজেই তিনি নিহত হওয়ায় আমরা শোকাহত না।

তবে সব পক্ষকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন লন্ডনের এই সাবেক মেয়র। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।

শুক্রবার সকালে কাসেম সোলাইমানি মার্কিন গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার পর রোববার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তিনি।

ক্যারিবীয় দ্বীপে অবসর যাপন থেকে ফিরে বরিস জনসন বলেন, ইরাককেও তিনি শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সমর্থন দিতে বলবেন।

ইরাক থেকে ব্রিটিশ সেনাসহ বিদেশি বাহিনী বরখাস্তে দেশটির পার্লামেন্টে আহ্বান জানানো হয়েছে। বরিস বলেন, আমাদের সব স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কাসেম সোলাইমানি। মধ্যপ্রাচ্যে ধ্বংসাত্মক, অস্থিতিশীল আচরণের জন্য তিনি দায়ী ছিলেন।

‘তার নেতৃত্বের ভূমিকায় তিনি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে হাজারো নিরাপরাধ লোক ও পশ্চিমাদের মৃত্যুর দিকে ধাবিত করেছে। তার মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করবো না।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা পরিষ্কার যে প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার সব আহ্বানে অঞ্চলটিকে আরও সহিংসতার ভেতর নিয়ে যাবে। তাতে কারো স্বার্থ নেই।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply