ইরাকে মার্কিন দূতাবাস ও বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

|

মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুর একদিন পরই, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠলো বাগদাদের অতি সুরক্ষিত গ্রিন জোন। হামলা হয়েছে মার্কিন সেনাদের আবাসস্থল বালাদ বিমান ঘাঁটিতেও। শনিবার রাতের এ হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ইরাকি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মোট চারটি রকেট ছোঁড়া হলেও গ্রিন জোনের মার্কিন দূতাবাসে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পড়েনি। কোথা থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে, তা জানা যায়নি।

এদিকে, কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুতে ইরান-ইরাকজুড়ে চলছে শোক। শনিবার বাগদাদের লাখো মানুষের সাথে শোক মিছিলে যোগ দেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রীও। আর চলমান উত্তেজনার জেরে মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে অতিরিক্ত তিন হাজার মার্কিন সেনা। এ নিয়ে গেল আট মাসে অঞ্চলটিতে ১৪ হাজারের বেশি সেনা পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অভিযানে বাগদাদে ইরানি মেজর জেনারেল নিহত হওয়ার ঘটনায় ছায়াযুদ্ধে অবতীর্ণ ওয়াশিংটন-তেহরান।

গেল সপ্তাহে ইরাকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলায় মার্কিন যোদ্ধার মৃত্যু হয়। জবাবে বাগদাদে বিমান হামলায় ইরান সমর্থিত ২৫ যোদ্ধাকে হত্যার ঘটনায় নতুন মাত্রা পায় যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনা। ইরাকে মার্কিন হস্তক্ষেপের অবসানের দাবিতে বিক্ষোভের এক পর্যায়ে মার্কিন দূতাবাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। এরপরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযানে হত্যা করা হয় ইরানি সমরবিদকে। এ ঘটনায় ওয়াশিংটনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply