আবরার হত্যাকারী ছাত্রলীগ দেখতে চাই না: কাদের

|

আবরার হত্যাকারী ছাত্রলীগ দেখতে চাই না, রাজশাহীতে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছনাকারী ছাত্রলীগ দেখতে চাই না। হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে ছাত্রলীগকে শুদ্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ ৭২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগ আমাদের শৈশবের ভালোবাসা, কৈশোরের উচ্ছ্বাস, যৌবনের প্রেম ও বার্ধক্যের বিশ্বাস। আবরার হত্যাকারী ছাত্রলীগ দেখতে চাই না, রাজশাহীতে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছনাকারী ছাত্রলীগ দেখতে চাই না। হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে ছাত্রলীগকে শুদ্ধ হতে হবে। শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানের তালে শুদ্ধ হতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণাস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নবীন ও পুরানো এই মিলন মেলায় বাংলাদেশের সব বাগানে যত ফুল ফুটেছে, সব ফুলের শুভেচ্ছা ছাত্রলীগের জন্য দিলাম। এই মিলন মেলায় দাঁড়িয়ে আজ বারবার মনে পড়ছে— বঙ্গবন্ধুর সব সাফল্যের কেমিস্ট্রি কী ছিল? সেই কেমিস্ট্রি ছিল সাহস। বঙ্গবন্ধু কন্যার রসায়ন হলো, সাহস ও সততা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ছিল মানুষের প্রতি অক্ষয় ভালোবাসা। শেখ হাসিনার রাজনীতি এ দেশের মানুষের কাছে থাকা। তার নেতৃত্বে বিশ্ব সভায় বাংলাদেশ বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে সৎ, সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে সাহসী, সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতার নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।

একদফা বক্তব্য দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের আগে আবার মাইকে আসেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, নেত্রী বক্তব্য রাখবেন, আমি তার আগে মনযোগ আর্কষণের চেষ্টা করছি। আমার বক্তব্যে একটি কথা বলতে ভুলে গেছি। আমি নেত্রীর কাছে, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রীর কাছে, তিনি ছাত্রলীগের অভিভাবক, আমাদের সকলের অভিভাবক, আমি তার কাছে আবেদন করছি, ছাত্রলীগ বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে, এটা কেমন শোনায়, এই ‘ভারপ্রাপ্তটা’ ভারমুক্ত করে দেবেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply