ভৈরব রেলওয়ে টিকিট কাউন্টারের কম্পিউটার চুরি

|

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

ভৈরব রেলওয়ে টিকিট কাউন্টারের কম্পিউটার রুম থেকে একটি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। এতে ভৈরব স্টেশন থেকে কয়েক ঘণ্টা টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকে। এরফলে যাত্রীদের বিনা টিকিটেই ট্রেনে উঠতে হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে এই চুরির ঘটনা ঘটে। পরে দুপুরের দিকে বিকল্প ব্যবস্থায় একটি কম্পিউটার দিয়ে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত ধীর গতিতে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রীরা টিকিট পেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

টিকিট কাউন্টারের প্রধান বুকিং সহকারী কিশোর চন্দ্র সাহা জানান বেসরকারি কোম্পানি সিএনএস কোম্পানির সম্পদ কম্পিউটার ও সার্ভার রুম। তাদের প্রতিনিধি জসীম উদ্দিন এই কম্পিউটার দেখাশুনা করে। কিভাবে চুরি হয়েছে আমরা বলতে পারবনা।

জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল রেল স্টেশনের টিকিট বিক্রির সকল যন্ত্রপাতি, সারবার, কম্পিউটার তারা সাপ্লাই দিয়ে থাকে। বিনিময়ে তারা প্রতি টিকিটে ৫ টাকা করে পায়। ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট বিক্রির জন্য একটি কম্পিউটার রুম রয়েছে। চট্টগ্রামের রেলওয়ে সারবার রুম থেকে পূর্বাঞ্চলীয় সকল রেল স্টেশনে সারবারের মাধ্যমে কম্পিউটার দিয়ে টিকিট বিক্রি করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে টিকিট বুকিং কাউন্টারের প্রধান গেইট খোলা ছিল। রেলওয়ের অবঃ কর্মচারীদের বেতন দিতে প্রধান গেইট খোলা ছিল বলে জানায় কিশোর চন্দ্র সাহা। তবে সার্ভার রুম কেন খোলা ছিল তা তিনি বলতে পারেননি। প্রধান গেইট খোলার ফাঁকে কে বা কারা কম্পিউটারটি চুরি করল রেল কর্মচারীরা বলতে পারছেনা।

সিএনএস কোম্পানির প্রতিনিধি জসীম উদ্দিনের গাফলতিতে এই চুরির ঘটনাটি ঘটেছে বলে রেল কর্মচারীরা দাবী করেন।

সকালে কম্পিউটার চুরির সাথে সাথে সারবারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়লে বিকল্প ব্যবস্থায় হাতে লিখে টিকিট বিক্রি করা হয়। পরে দুপুরের দিকে সিএনএস কোম্পানির প্রতিনিধি জসীম বিকল্প ব্যবস্থায় একটি কম্পিউটার এনে টিকিট বিক্রি সিস্টেম চালু করে।

সিএনএস কোম্পানির প্রতিনিধি মোঃ জসীম উদ্দিনকে বার বার মোবাইলে ফোন দিলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। একাধিকবার ফোন দিয়েও তার বক্তব্য নিতে যোগাযোগ করা যায়নি।

ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী কিশোর চন্দ্র সাহা জানান, কম্পিউটার রুমসহ টিকিট বিক্রির সকল যন্ত্রপাতি দেখাশোনার দায়িত্ব সিএনএস কোম্পানির লোকদের। আমি রেল কর্মচারীদের পেনশনের টাকা দেয়ায় ব্যস্ত ছিলাম। বুকিং কাউন্টারে কর্মরত ক্লার্করা টিকিট বিক্রিতে ছিল। এরই ফাঁকে কে বা করা কম্পিউটারটি চুরি করেছে। এতে যাত্রীরা যথাসময়ে টিকিট পেতে দুর্ভোগ পোহাইয়াছে বলে তিনি স্বীকার করেন। সন্ধ্যার পর টিকিট বিক্রিতে আর কোন সমস্যা হয়নি বলে তিনি জানান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply