ইয়েমেনে নতুনভাবে সহিংসতা ছড়ানোর আশঙ্কা

|

Yemeni men raise their rocket-propelled grenade launchers as they gather near the capital Sanaa to show their support to the Shiite Huthi movement against the Saudi-led intervention on February 21, 2019. (Photo by Mohammed HUWAIS / AFP) (Photo credit should read MOHAMMED HUWAIS/AFP/Getty Images)

সামরিক বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় নতুনভাবে সহিংসতা ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ইয়েমেনে। রোববার, কুচকাওয়াজে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন কমপক্ষে ৫ জন।

বিশ্লেষকদের শঙ্কা- ভেস্তে যেতে পারে অস্ত্রবিরতি চুক্তি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, মানবাধিকার পরিস্থিতির আরো অবনমন দেখবে বিশ্ব।

সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর এত বড় হামলা দেখেনি ইয়েমেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থিত হুতিবিরোধী সামরিক জোটের কুচকাওয়াজ চলার সময় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়, যাতে প্রাণ যায় বেশ কয়েকজনের।

এরআগে গেল মাসে সৌদি আরবের মধ্যস্ততায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় বিদ্রোহীদের সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে চুক্তিবদ্ধ হয় মনসুর হাদি সরকার। সাক্ষরিত হয় অস্ত্রবিরতী চুক্তিও। এই হামলার পর, চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা বিশ্লেষকদের।

ইয়েমেনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাকিম আল মাসমারি বলেন, এই হামলায় বাইরের কোনো পক্ষের জড়িত থাকার শঙ্কা বেশি। কারণ দুই পক্ষই একে অপরের শক্তি সম্পর্কে অবগত। তাই এ ধরণের হামলা যে ভয়ংকর পরিস্থিতি ডেকে আনবে সেটাই সবাই জানে। সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে অস্ত্রবিরতী চুক্তিতে।

ইয়েমেন সংঘাতের কারণে দেশটিতে খাদ্য সংকটে ১০ লাখের বেশি মানুষ। বিদেশী সহায়তার ওপর নির্ভর দুই কোটির বেশি ইয়েমেনি। মহামারী আকারে ছড়িয়েছে কলেরা এবং বসন্ত। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, চুক্তি বাতিল হলে মানবাধিকার পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করবে।

এইচআরডব্লিউ’র মুখপাত্র আরফাহ নাসার বলেন, ১০ লাখের বেশি মানুষ খাবার এবং ওষুধের সংকটে ভুগছে। সবচেয়ে বেশি বিপদের মধ্যে আছে শিশুরা। যখন বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে অস্ত্রবিরতী চুক্তি হলো তখন আমরা আশার আলো দেখেছিলাম। কিন্তু নতুন এই হামলার পর পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে।
২০১৫ সালে সৌদি জোট শুরু করে, কিন্তু এতদিনেও দমানো যায়নি হুতিদের।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেন সংঘাতে প্রাণ গেছে প্রায় ৯১ হাজার মানুষের। ঘর ছেড়েছেন ৩০ লাখের বেশি মানুষ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply