জামিয়া মিল্লিয়ায় পুলিশের হামলা, শিক্ষার্থীদের পাশে ইরফান পাঠান

|

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজধানী দিল্লি। রবিবার বিকেলে দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের উপর হামরা করে দিল্লি পুলিশ। ক্যাম্পাসের মধ্যেই কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। অভিযোগ, শৌচাগারে পর্যন্ত ঢুকে পড়ুয়াদের যথেচ্ছ পিটিয়েছে পুলিশ। লাঠিপেটা করা হয় কর্মীদেরও। পড়ুয়াদের মাথার উপরে হাত তুলে লাইনে হাঁটিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীদের প্রতি দিল্লি পুলিশের এই আচরণে ক্ষোভ বিভিন্ন মহলে। আটক সহপাঠীদের মুক্তির দাবিতে কড়া ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে দিল্লি পুলিশের সদর দফতর ঘেরাও করেছিলেন পড়ুয়ারা। ভোরে যদিও আটক পড়ুয়াদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

এমন সময়ে জামিয়া পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালেন ক্রিকেটার ইরফান পাঠান। টুইটে আক্রান্ত পড়ুয়াদের নিয়ে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন তিনি। ৩৫ বছর বয়সী ক্রিকেটারের টুইট, ‘রাজনৈতিক দোষারোপ তো চলতেই থাকবে। আমি ও আমাদের দেশ কিন্তু জামিয়া মিলিয়ার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে চিন্তিত।’

জামিয়ার ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সরব হয়েছেন নাগরিক সমাজের একাংশও। এবার সেই টুইট করে আক্রান্ত পড়ুয়াদের প্রতি সহমর্মিতা দেখালেন দেশের হয়ে ২৯টি টেস্ট ও ১২০টি একদিনের ম্যাচ খেলা ইরফান পাঠানও।

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রবিবার দুপুর থেকেই দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি, মাতা মন্দির, মথুরা রোডে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে বিক্ষোভকারীদের। এর জেরে একটি সরকারি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে ঢুকে বেধড়ক লাঠি চালায় পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া ওই এলাকা সংলগ্ন একাধিক মেট্রো স্টেশনের গেট।

বিকালের দিকে জামিয়া ক্য়াম্পাসে চড়াও হন পুলিশকর্মীরা। বেধড়ক লাঠিপেটার পাশাপাশি আটক করা হয় বেশ কয়েক জনকে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply