ফিলিস্তিনের ফাতাহ পার্টির নির্বাসিত সাবেক প্রভাবশালী নেতা মোহাম্মাদ দাহলানকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ৪০ লাখ লিরা বা সাত লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে তুরস্ক।
দাহলানের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে আঙ্কারা। খবর হুরিয়াত ও বিবিসির।
এ ছাড়া ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায়ও দাহলান ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে আঙ্কারা অভিযোগ করেছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু বলেছেন, দাহলানকে তুরস্কের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে।
৫৮ বছর বয়সী মোহাম্মাদ দাহলান একসময় ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়ায় তিনি ফিলিস্তিন ছেড়ে পালিয়ে যান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।
তুরস্ক অভিযোগ করছে, দাহলানকে আরব আমিরাত ভাড়াটে গুণ্ডা হিসেবে ব্যবহার করছে। এ ছাড়া আরব আমিরাত ফিলিস্তিনের স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাহমুদ আব্বাসকে সরিয়ে মোহাম্মাদ দাহলানকে বসানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেছে আঙ্কারা।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু আবুধাবির বিরুদ্ধে একজন সন্ত্রাসীকে ভাড়া করার অভিযোগ করে বলেন, দাহলান একজন ইসরাইলি এজেন্ট বলেই পালিয়ে আপনাদের কাছে চলে গেছে।
ওই অভিযোগের জবাবে দাহলান একটি সৌদি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় তৎপর সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ আনেন।
Leave a reply