মোদি ছাড়া ভারতে আর কেউ পাবে না এসপিজি নিরাপত্তা

|

ভারতের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ‘স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ’ বা ‘এসপিজি’ যাতে কেবল মাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই দেয়া- এ ব্যাপারে পার্লামেন্ট বিল আনতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি জোট।

ভারতে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দিল্লি পুলিশের অধীনেই ছিল প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার ভার। তার পরে তৈরি হয় স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। খবর আনন্দবাজার ও এনডিটিভির।

কিন্তু ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী হত্যার পর নড়েচড়ে বসে রাজীব গান্ধী সরকার। একটি ‘স্পেশাল প্রোটেকশন ইউনিট’ (এসপিইউ) তৈরি হয়, যা পরে ‘স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ’ বা ‘এসপিজি’তে পরিণত হয়।

প্রথমে এই এসপিজি ছিল শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্যই। ১৯৮৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হন বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ, এক বছরের মধ্যে চন্দ্রশেখর।

রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী না থাকলেও তার উপর হামলার আশঙ্কা বাড়তে থাকে। শেষে তিনি জঙ্গিদের হাতে প্রাণ হারান।

রাজীবের মৃত্যুর পরই এসপিজি আইনে সংশোধন এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারকে এসপিজি নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়।

কিন্তু কংগ্রেসকে চাপে রাখতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের এসপিজি নিরাপত্তা গত অগস্টে প্রত্যাহার করা হয়।

সম্প্রতি সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর এসপিজিও সরানো হয়েছে। এতে বেজায় চটেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেন, এসিপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার আসলে বিজেপির অপরাজনীতি।

কংগ্রেস নেতা রশিদ অলভি বলেন, বিজেপি আসলে গান্ধী পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চাইছে। এ পরিবারের উপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে- মোদি সরকারই তা জানিয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply