ঝিনাইদহে ১ মণ ধানে ২ কেজি পেঁয়াজ

|

আহমেদ নাসিম আনসারী, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহে ১ মন, অর্থাৎ ৪০ কেজি ধান বিক্রি করে ২ কেজি পেঁয়াজ কিনছে চাষিরা। এ নিয়ে চাষিদের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। পেঁয়াজ কিনতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে নিম্ন আয়ের লোকজনের বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

সরেজমিন জানা গেছে- জেলার ধান, চাউল ক্রয় বিক্রয়ের সব চেয়ে বড় মোকাম সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজার। এখানে নতুন মোটা ধান ৫শ’ ৮০ টাকা আর চিকন ধান সর্বোচ্চ ৬শ’ ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ধান বিক্রি করতে এসেছেন সদর উপজেলার বাজার গোপালপুরের সমির আলি। তিনি বলেন, মোটা ধান প্রতি মণ ৫শ’ ৭০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।

অপর বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, আমরা উৎপাদন করে, বিক্রি করতে গেলে দাম পাচ্ছিনা। আবার বিক্রি করার পর দ্বিগুনেরও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান পেঁয়াজের যে দাম। আমরা তো একমণ ধান বিক্রি করে মাত্র ২ কেজি পেঁয়াজ নিতে পারছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৮০-২৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

তবে কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, গত বছর জেলার ৬টি উপজেলায় ৮’ হাজার ৮’শ ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ করেছিল চাষিরা। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২৪ হেক্টর বেশি। আর এ সকল জমি থেকে ৬৮’হাজার ৪’শ ৪৫ মেট্টিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল। যা জেলার চাহিদা পুরণ করে বাইরের জেলায় রপ্তানি করা সম্ভব। কিন্তু এখন অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ কিনে চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে।

জেলার শৈলকুপা বাখরা গ্রামের পেঁয়াজ উৎপাদনকারি একাধিক চাষিসহ আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা পেঁয়াজ জমি থেকে তুলে আনার পরই বিক্রি করতে হয় কারণ রাখার মত কোন কোল্ডস্টোরেজ বা সংরক্ষণাগার নেই। এতে করে সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হই।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply