জাল নথি উপস্থাপন করে জামিনের চেষ্টা হত্যা মামলার আসামির

|

হত্যা মামলায় জামিনের জন্য জাল নথি তৈরি করে আদালতে উপস্থাপনের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জড়িতদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জের বেদগ্রাম সিলনা রোডের বাসায় খুন হন জাকিয়া বেগম। এ ঘটনায় তার বাবা জালালউদ্দিন মল্লিক পরদিন জাকিয়ার স্বামী মোর্শেদায়ান নিশানকে (৩৬) প্রধান এবং এহসান সুশানকে (৩৩) দুই নম্বর আসামি করে চার জনের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হত্যা মামলা করেন। এরপর আসামি নিশানকে প্রধান অভিযুক্ত দেখিয়ে চার জনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৯ জুন চার্জশিট দাখিল হয়। ২০১৭ সালে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হন নিশান। এ অবস্থায় চলতি বছর হাইকোর্টে আবারও জামিনের আবেদন করেন তিনি।

জামিন আবেদনে মামলার এজাহার, চার্জশিট ও সাক্ষী রিনা বিশ্বাসের জবানবন্দি জাল করে তাতে নিশানকে দুই নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আর প্রকৃত দুই নম্বর আসামি সুশানকে করা হয় এক নম্বর আসামি। জামিন আবেদনে বলা হয়, নিশানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই।

জাল নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মামলাটি বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে থাকলেও জামিন আবেদনে বলা হয়েছে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন। এমনকি মামলা দায়েরের তারিখ ঠিক রেখে নিশানকে গ্রেফতার ও চার্জশিট দাখিলের তারিখ বদলে ফেলা হয়েছে। মামলার বিভিন্ন নথি জাল করে তাতে দেখানো হয়েছে, গত বছরের ২৫ নভেম্বর নিশান গ্রেফতার হন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি বলেন, ‘বড়ো ধরনের এই জালিয়াতির বিষয়টি জানার পর হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এর সঙ্গে কারা সম্পৃক্ত তা বের করতে আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, জাল নথি দিয়ে জামিন আবেদনে আসামিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে তার বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগই নেই। যদিও জালিয়াতির বিষয়টি আমরা বের করতে সক্ষম হয়েছি।’


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply