অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলার ঘটনায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ২৫

|

রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদউদ্দিন আহম্মেদকে জোর করে টেনে হিঁচড়ে পুকুরে ফেলে দেয়ায় ৫০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এরপর রাতেই পুলিশ হোস্টেলে অভিযান চালায় পুলিশ। এতে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ইন্সটিটিউটের অধ্যয়নরত ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীরা তাকে পুকুরে ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করেছেন শিক্ষকরা। পরে রাত ৯ টায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ মোট ৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন অধ্যক্ষ ফরিদউদ্দিন আহম্মেদ।

এছাড়া রোববারের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে লাগাতার কর্মসূচিতে যাবেন বলে জানান শিক্ষকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্সটিটিউটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মামলায় আসামিরা হলেন, কম্পিউটার বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও ইন্সটিটিউটের ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভ, ইলেকট্রোনিক্স ৫ম পর্বের শিক্ষার্থী মুরাদ, পাওয়ার বিভাগের সাবেক ছাত্র শান্ত, ইলেকট্রোনিক্স বিভাগের সাবেক ছাত্র বনি, মেকাটনিক্স বিভাগের সাবেক ছাত্র হাসিবুল ইসলাম শান্ত, ইলেক্টো-মেডিক্যাল বিভাগের সাবেক ছাত্র সালমান টনি, একই বিভাগের ৭ম পর্বের ছাত্র হাবিবুল ও কম্পিউটার বিভাগের সাবেক ছাত্র মারুফ।

শিক্ষকরা আরও জানান, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। তাদের কয়েকজনের মুখ রুমাল দিয়ে বাধা ছিলো। এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

অধ্যক্ষ জানান, ক্লাসে উপস্থিতি কম থাকায় দুই ছাত্রের ফরম পূরণে অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। সকালে ছাত্রলীগ কর্মীরা ঐ দুই ছাত্রের ফরম পূরণ করানোর জন্য তার অফিসে যায়। তিনি এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধানের কাছে যেতে বললে অশালীন মন্তব্য করে বের হয়ে যায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে নামাজ শেষে অফিসে আসার সময় কম্পিউটার বিভাগের সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী কামাল হোসেন সৌরভ সহ সংঘবদ্ধরা পথ আটকে তাকে পুকুরের পানিতে নিক্ষেপ করে।

অধ্যক্ষের দাবি, সাঁতার জানার কারণে তিনি এ যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply