আসামিদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ি

|

আসামি পরিবহনের জন্য নতুন প্রিজন ভ্যানের ব্যবহার শুরু করেছে পুলিশ। মাস তিনেক আগে ইটালি থেকে দেশে আনা হয়েছে এসব প্রিজন ভ্যান। ব্যয় হয়েছে কোটি টাকার ওপরে। এমন অত্যাধুনিক গাড়ি পুলিশের কাছে রয়েছে ৪টি। এরমধ্যে, ২টি ব্যবহার করছে ডিএমপি। একটিতে করে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের আসামিদের আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। আরেকটি ঢাকা জেলা পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে এসব অত্যাধুনিক গাড়ির একটিতে করেই কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শারফুদ্দীন ও কামাল নামের দুই আসামিকে বকশীবাজারে আনা হয়েছে। গাড়িতে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। একসাথে, ১০ জন আসামি বসতে পারে এসব গাড়িতে। পুরোনো গাড়িগুলোতে পর্যাপ্ত আসন নেই। গাদাগাদি করে আনা হয় আসামিদের। এই প্রিজন ভ্যান এখন বিশেষ বিশেষ আসামিদের বহনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নতুন প্রিজন ভ্যানের এক চালক বলেন, ‘এ গাড়ি সম্ভবত ইটালি থেকে আনা হইছে। ৮ থেকে ১০ জন বসতে পারে। এসিটা খুব ঠাণ্ডা হয়। আসামি আনা নেওয়ার কাজে ভাল হইছে। এটা বিশ্বমানের।’

আজ বকশীবাজার আদালতের মাঠে নতুন প্রিজন ভ্যানটি দেখে উপস্থিত অনেকেই উৎস্যুক হয়ে উঠেন। সবাই এটাকে ভালো উদ্যোগ বলেছেন। কারও কারও মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল সেই শাশ্বত সত্য, ‘আসামিরাও মানুষ’।

যমুনা অনলাইন: এনএস/টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply