বোর্ড সভায় সমাধান আসবে?

|

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরলতম এক ঘটনা। ১১ দফা দাবিতে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। এমন সংকটের সমাধান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কতটা দ্রুততার সাথে করতে পারে সেটির ওপর নির্ভর করছে অনেককিছু। সংকট সমাধানে বৈঠকে বসেছে বিসিবি। সেদিকেই তাকিয়ে আছে ক্রীড়াপ্রেমীরা। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে যে দেশের ক্রিকেটের অমঙ্গল!

দীর্ঘদিন ধরেই বিসিবির নানা সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমে ক্রিকেটারেরা অসন্তুষ্ট। সোমবার এক হয়েই তারা তুলে ধরেছেন নিজেদের ১১ দফা দাবি। এসব দাবি না মানা পর্যন্ত আর মাঠে ফিরবেন না তারা। তাদের এ কঠোর অবস্থানে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের ভারত সফর ও চলমান জাতীয় লিগ। পরিচালনা পর্ষদের যেসব সদস্য ঢাকায় আছেন, তাদের নিয়ে তাই তড়িঘড়ি করে বৈঠকে বসেছে বিসিবি।

জানা গেছে, ক্রিকেটারদের এই দাবিগুলোর বেশিরভাগই যৌক্তিক মনে করলেও ধর্মঘট ডেকে বসার বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখছে না বোর্ডের কর্মকর্তারা। বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনূস যেমন বললেন, এসব দাবিদাওয়া আলোচনার ভিত্তিতে পূরণের জন্য সময়ের দরকার। সবগুলো দাবি নিয়ে বসে আলোচনা করা যায়। ডাকারই তো সুযোগ দেয়নি। তারা বলছে দাবি না মানলে ধর্মঘট চলবে।

তার মতোই বোর্ডের অনেক কর্তাব্যক্তিই মনে করছেন ক্রিকেটাররা আগে আলোচনায় বসে সমাধানের চেষ্টা করতে পারতো। এতটা হার্ডলাইনে যাওয়া ঠিক হয়নি। তবে, বিপরীত মতও আছে। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন এসব সমস্যা দীর্ঘদিনের। সমাধান করতে চাইলে আরও আগেই করা যেতো। এখন ক্রিকেটাররা এক হয়ে আন্দোলনে যাওয়ায় ক্রিকেট কাঠামোর ইতিবাচক সংস্কারের পথ তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, সংগঠনের স্বাধীনতা, ঘরোয়া ক্রিকেটে পারিশ্রমিক বৃদ্ধি, সংস্কার, চুক্তি কাঠামোর পরিবর্তনসহ ১১ দফা দাবিতে সোমবার থেকে আন্দোলনে নেমেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এসব দাবি পূরণের আগ পর্যন্ত সকল ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা তাদের।

তাতে বিসিবি অপ্রস্তুত হলেও বল এখন তাদেরই কোর্টে। ক্রীড়াপ্রেমীরা মনে করেন, ঠাণ্ডা মাথায় দেখেশুনেই আগানো উচিৎ বিসিবির। দেশের ক্রিকেটের জন্য সেটিই মঙ্গল।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply