যুবলীগ নেতার জ‌মি দখল, যমুনা টিভির প্রতিবেদনের পর তদন্ত শুরু

|

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

যুবলীগ কেদ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভো‌কেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ’র বিরুদ্ধে যমুনা‌ টি‌ভির অনলাইনে ‘যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ’ শি‌রোনা‌মে সংবাদ প্রকাশের পর পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করে‌ছে।

শুক্রবার কলাপাড়া উপ‌জেলা নির্বা‌হি অফিসার (ইউএনও) মো: মুনিবুর রহমান ‌জেলা প্রশাসনের বরাত দিয়ে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে‌ছেন।

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর কলাপাড়া প্রেসক্লাবে যুবলীগ কেদ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভো‌কেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ’র বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখলের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী পাঁচ পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন বা‌লিয়াতলী ইউ‌নিয়‌নের দ‌ক্ষিন বা‌লিয়াতলী গ্রা‌মের ইনারা বেগম।

সংবাদ সম্মেল‌নে লিখিত বক্তব্যে তি‌নি বলেন, পাচ‌টি ব‌ন্দোবস্ত কে‌সের মাধ্য‌মে সরকার তা‌দের সা‌ড়ে সাত একর খাস জ‌মি ব‌ন্দোবস্ত দেয়। তারা ওই জ‌মি‌তে বসবাসসহ চাষাবাদ ক‌রে জী‌বিকা নির্বাহ ক‌রে আস‌ছি‌লেন।

কিন্তু যুবলীগ নেতা সোহাগ ক্ষমতার অপব্যবহার ক‌রে উপ‌জেলার সোনাপাড়া মৌজার খাস খতিয়ান ৩১৯১/৩১৯নং দাগের পাঁচ একর জ‌মি ভূ‌মি অ‌ফিস‌কে ভুল তথ্য দি‌য়ে ডি‌সিআর কেটে মাছের ঘের ক‌রেন। সাত বছর আগে তার ডিসিআরের মেয়াদ শেষ হলেও এর প্রতিবাদ করায় হতদরিদ্র এসব পরিবারের নামে ঢাকার কেরানীগঞ্জ, পটুয়াখালী ও কলাপাড়ায় ১১টি মামলা করা হয়। ভুক্তভাগী এ পরিবারগুলো সোহা‌গের রোষানল থে‌কে মুক্তি পে‌তে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চে‌য়ে‌ছেন।

বিষয়টি নি‌য়ে ওই‌দিনই যমুনা অনলাই‌নে সংবাদ প্রকাশের পর সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ্য‌মে ভাইরাল হয়। বিষয়‌টি পটুয়াখালী জেলা প্রশাস‌নের নজ‌রে আ‌নেন অনেকে। দুই‌দিন পর পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থে‌কে কলাপাড়া উপ‌জেলা নির্বা‌হি অ‌ফিসার‌কে চি‌ঠি পাঠা‌নো হয়। ২৩ সে‌প্টেম্বর ২০১৯ইং স্মারক নম্বর: ৩১.১০.৭৮০০.০০৯.০৬.০৩০.১৯-১৪১৪ আরডিসি উম্মে হাবিবা মজুমদার স্বাক্ষরিত কলাপাড়া ইউএনওকে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়কে অবগত করার জন্য নির্দেশক্র‌মে অনুরোধ করা হয়।

কলাপাড়া ইউএনও মোঃ মুনিবুর রহমান জানান, ‘জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থে‌কে কেদ্রীয় যুবলীগ নেতা সোহাগ’র বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের লিখিত নির্দেশনা পে‌য়ে কলাপাড়ার সহকারী ক‌মিশনার ভূ‌মি‌কে তদন্তপূর্বক মতামত সহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়ে‌ছে।’

এ‌দি‌কে কলাপাড়া উপ‌জেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ কুমার দাশ জানান,’ বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইউএনও মহাদয় বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply