যে ৩ পদ্ধতিতে পাওয়া যাবে সৌদির ভ্রমণ ভিসা

|

বিদেশিদের ভ্রমণ ভিসা দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সৌদি সরকার পর্যটন ভিসা (টুরিস্ট ভিসা) দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল। ভ্রমণ ভিসা দেয়ার মাধ্যমে তেলের বিকল্প হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে চায় দেশটি।

শনিবার থেকে এর আবেদন শুরু হবে বলে দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রধান আহমেদ আল-খতিব জানিয়েছেন, ৪৯টি দেশের নাগরিকেরা শনিবার থেকে সৌদি আরবে ভ্রমণ ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমাদের রয়েছে ইউনেসকোর পাঁচটি বিশ্ব ঐতিহ্য (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট), আকর্ষণীয় সংস্কৃতি ও মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। প্রাকৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা বা স্থানগুলো দেখে দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হবেন। বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের জন্য সৌদি আরবের দ্বার উন্মুক্ত হ্ওয়া আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

সৌদি আরবের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল-আরাবিয়্যাহ জানায়, নতুন চালু করা এ ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ থাকবে এক বছর। এ সময়ের মধ্যে দেশটির প্রতিটি প্রদেশে সর্বাধিক ৯০দিন থাকতে পারবে। এক বছরের মধ্যে এ ভিসায় সর্বমোট ১৪০দিন থাকতে পারবে। এর বেশি থাকার অনুমতি দেয়া হবে না।

ঘোষিত বিধি অনুসারে, পর্যটকরা ৩টি উপায়ে ভিসা পেতে সক্ষম হবেন-

১। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ‘অনলাইন’ নিবন্ধনের মাধ্যমে।

২। সীমান্ত ক্রসিং করার সময়ও ভিসা নিতে পারবেন। বিমানবন্দরগুলিতে ভিসা প্রাপ্তির সুযোগসুবিধা দেয়া হবে। (কিং খালিদ বিমানবন্দর, কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর, কিং ফাহাদ বিমানবন্দর, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দর এবং আল-বাহা গ্রাউন্ড ফ্রন্টিয়ার)।

৩। অনুমোদিত দেশগুলিতে সৌদি দূতাবাস ও কনস্যুলেটের প্রতিনিধিদের মাধ্যমেও ভিসা পেতে পারবেন।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ নামক সংস্কার কর্মসূচির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু পর্যটনশিল্প। তাই সৌদি আরব সরকার পর্যটন ভিসা (টুরিস্ট ভিসা) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার পর বৈশ্বিক বাজারে তেলের দামে বেশ প্রভাব পড়েছে। তাই হামলার মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই এ ঘোষণা এসেছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply