১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, নগদ দেড় কোটি টাকা উদ্ধার

|

রাজধানীর নিকেতনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা জি কে শামীমের ব্যবসায়িক কার্যালয় জি কে বিল্ডার্সে অভিযান চালিয়ে ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রেট) উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

এ সময় নগদ ১ কোটি ৮০ লাভ টাকা, ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কিছু মাদক ও বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার করা হয়।

অভিযান শেষে শুক্রবার বিকালে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এর মধ্যে মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও শামীমের নিজের নামে রয়েছে ২৫ কোটি টাকা। তবে তার মায়ের নামে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই বলে জানিয়েছেন এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

সারওয়ার বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে শামীমের বাসায় অভিযান চালানো হয়। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ও দেহরক্ষীরা অস্ত্র প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

‘শামীমকে এখন তাকে কোর্টে সামনে হাজির করা হবে। কোর্ট শুনবেন এবং পরে সিদ্ধান্ত দেবেন। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে পারলে তিনি ছাড়া পাবেন’, বলে সারওয়ার।

এর আগে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সমবায় সম্পাদক জি কে শামীমকে তার ৭ দেহরক্ষীসহ নিজের বাসা থেকে আটক করে র‍্যাব।

শামীমকে আটকের পর বিশাল বিলাসবহুল বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা, অস্ত্র, মাদক ও অন্যান্য অবৈধ জিনিস পেয়েছে।

বেলা সাড়ে ১২টার পর থেকে ওই গুলশানের ওই বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। বাসাটিকে একই সাথে অফিস হিসেবেও ব্যবহার করতেন যুবলীগ নেতা শামীম।

শারিরীক গঠনে ছোটখাটো হলেও শামীমের ক্ষমতার দাপট আকাশসমান। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় জি কে শামীম প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবেই পরিচিত। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজই তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে এই শামীমই ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি।

একসময়ের যুবদল নেতা ক্ষমতার পরিবর্তনে হয়ে যান যুবলীগ নেতা। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিও তিনি।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে শামীম। আফসার উদ্দিন মাস্টার ছিলেন হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিন ছেলের মধ্যে জি কে শামীম মেজো।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply