‘আজাদ কাশ্মিরেরও নিয়ন্ত্রণ নেবে ভারত’

|

ধাপে ধাপে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরেও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে ভারত। এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়াশঙ্কর। জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মির নিয়ে ইসলামাবাদের সাথে আর কোনো আলোচনা করবে না দিল্লি। এদিকে, কাশ্মির শান্তির উপত্যকায় পরিণত হয়েছে এমন দাবি করে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, গেল দেড় মাসে একটি গুলিও ছুঁড়তে হয়নি ভারতীয় সেনাদের। যদিও পশ্চিমা গণমাধ্যমে উঠে এসেছে উল্টো চিত্র।

গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল আর রাজ্য থেকে পৃথক দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপ দেয়ার প্রতিবাদে বারবার রাজপথে নেমেছেন ক্ষুব্ধ কাশ্মিরিরা। হয়েছেন সহিংসতার শিকার। যদিও ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র দাবি- গেলো দেড় মাসে কাশ্মিরে একটি গুলিও ছোঁড়েনি ভারতীয় সেনারা।

তিনি বলেন, ৩৭০ আর ৩৫’র ‘এ’ ধারা বাতিলকে কেন্দ্র করে জম্মু-কাশ্মিরে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। বরং অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। উপত্যকায় এখন শান্তি বিরাজ করছে। ৫ আগস্ট থেকে একটা বুলেট খরচ করতে হয়নি কাশ্মিরে। কেউ মারাও যায়নি।

কাশ্মিরে সেনা অবরোধ আর গণমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধের পেরিয়েছে ৪৬ দিন। ইন্টারনেট সংযোগও পাচ্ছেন না সাধারণ কাশ্মিরিরা। তবে, জম্মু-কাশ্মিরের পরিস্থিতিকে স্বাভাবিকই বলছে ভারত সরকার। বরং পরিস্থিতির জন্য প্রতিবেশি পাকিস্তানকেই দায়ী করে জম্মু-কাশ্মিরের পর আজাদ কাশ্মিরেরও নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ঘোষণা নয়া দিল্লির।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়াশঙ্কর বলেন, জম্মু-কাশ্মির নিয়ে ইসলামাবাদের সাথে আলোচনার কোনো প্রশ্নই নেই। কারণ ৩৭০ ধারা দ্বিপাক্ষিক বিষয় নয়। বরং এবার ধাপে ধাপে আজাদ কাশ্মিরেও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে ভারত। কেননা সেটিও ভারতীয় ভূখণ্ডেরই অংশ। কাশ্মির সংকটের একমাত্র কারণ- ভারতকে অস্থিতিশীল করে তুলতে উপত্যকায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তৎপরতার অপচেষ্টা।

জয়াশঙ্করের এ বক্তব্যকে উস্কানিমূলক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ আখ্যা দিয়েছে ইসলামাবাদ।

কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব ৭২ বছরের। ১৯৪৭ সাল থেকে অঞ্চলটির মালিকানার দাবিতে দু’দেশের লড়াইয়ে প্রাণ গেছে হাজারও মানুষের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply