খ্রিস্টান না বানানোর শর্তেই ভারতে কাজ করতে হবে এনজিওগুলোকে

|

এখন থেকে খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত না করার শর্ত দিয়ে ভারতে কাজ করতে হবে বিদেশ থেকে তহবিল পাওয়া এনজিওগুলোর (নন গভর্নমেন্ট অর্গানাইজেশন)। একইসাথে তাদের কর্মীদের মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে তারা কোন রকম ধর্মান্তরিত করার কাজে জড়িত নন বা তাদের বিরুদ্ধে এমন কোন মামলা নেই। খবর বিবিসি বাংলা’র।

সম্প্রতি ভারত সরকারের নির্দেশ মোতাবেক, যেসব এনজিও বিদেশ থেকে তহবিল পেয়ে থাকে তাদের কর্মীদের মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে যে তারা ধর্মান্তরিত করার ঘটনায় যুক্ত নন অথবা তাদের বিরুদ্ধে ওই ধরনের কোনও মামলা হয়নি।

গেল কয়েক বছর ধরেই ভারতে বিদেশি সাহায্যপ্রাপ্ত এনজিওগুলোর কার্যকলাপে সরকার নানা বিধিনিষেধ আরোপ করছে সরকার। সর্বশেষ দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এতে নতুন এই পদক্ষেপ নিল।

সরকারি দল বিজেপি বলছে, সামাজিক কার্যক্রমের আড়ালে বহু এনজিও জোর করে বা প্রলোভন দেখিয়ে লোকজনকে ধর্মান্তরিত করছে বলেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশে বলা হচ্ছে, এই এনজিওগুলোর কর্মীরা যে কখনও ধর্মান্তকরণে জড়িত ছিলেন না বা ধর্মান্তকরণের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন না সেটাও তাদের হলফনামা দিয়ে বলতে হবে – নইলে সেই এনজিওকে ভারতে কাজ করতে দেওয়া হবে না।

বিজেপি এমপি রাকেশ সিনহা বলেন, এনজিও গুলো তাদের কার্যক্রম চালানোর সময় তাদের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই বললেও তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায় সেখানে কেউ ক্যাথলিক কেউ জেসুইট কেউ বা খ্রিস্টান মানবতাবাদী পরিচয় দিয়ে রাখে। এসব ভন্ডামি বন্ধ করার জন্যই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এনজিওগুলো তাদের কার্যক্রমের আড়ালে গরিব আদিবাসী বা দলিত সমাজকে খ্রিস্টান ধর্মে রুপান্তরিত করছে বলে বহু আগে থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী আরএসএস পরিবার।

এর সাথে এখন থেকে এনজিও গুলোকে বিবৃতি দিয়ে এমনটাও জানাতে হবে যে তারা বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অর্থের কোন অপব্যবহার বা দেশদ্রোহীমূলক কাজে ব্যবহার করেনি।

পশ্চিমবঙ্গের ‘পরিচিতি’ নামে এনজিওর কর্ণধার অঞ্চিতা ঘটক বলেছেন, “এতো খুব সাঙ্ঘাতিক জিনিস! এখনই আমাদের এত রকম আইনি নিয়মকানুন মেনে চলতে হয় যে বলার নয়, তার মধ্যে আবার একটা নতুন ঝামেলা আনা হল।

তিনি আরও বলেন, সরকারের তরফ থেকে এই ধরনের দাবি আসলে সেটা তাদের জন্য খুবই অবমাননাকর, বলছিলেন অঞ্চিতা ঘটক।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply