অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ

|

প্রকাশ হলো বহুল আলোচিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি ও আচরণবিধির গেজেট। মাসদার হোসেন মামলায় আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ ও অপসারণ সংক্রান্ত বিধিমালা না করায়, আড়াই বছর ধরে সর্বোচ্চ আদালতের সাথে আইন মন্ত্রণালয়ের টানাপোড়েন চলছিল। গেজেট প্রকাশের জন্য সর্বশেষ ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। আইনমন্ত্রী বলেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার কারণেই এই বিলম্ব।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর  মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ের আলোকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক হয় বিচার বিভাগ। ১২ দফা সুপারিশের মধ্যে অধস্তন আদালতের বিচারক ও বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক আচরণ ও শৃঙ্খলাবিধি প্রণয়ণের কথা বলা হয়েছিল। এতবছর পর চড়াই উতরাই পেরিয়ে প্রকাশ হল অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি ও আচরণবিধির গেজেট।

আচরণবিধি তৈরির ইস্যুটি বারবার আলোচনায় আসে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র সিনহার সময়ে। বারবার সময়ে চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন এবং এস কে সিনহার তীর্যক মন্তব্যের খবর আসতে থাকে গণমাধ্যমে। এসবের মাঝে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর আলাদা আচরণবিধির প্রয়োজন নেই- রাষ্ট্রপতির এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে নোটিশ প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়।  তা আমলে না নিয়ে, বিচারবিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্ন এবং সুষ্ঠুভাবে দায়িত্বপালনের জন্য এ বিধি অনস্বীকার্য উল্লেখ করে, ১৫ জানুয়ারি মধ্যে গেজেট প্রকাশের পুনরায় নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

এরপর বছরজুড়ে বহু দফায় সময় নিয়ে মঙ্গলবার প্রকাশ হয় গেজেট। বিলম্বের জন্য এস কে সিনহাকেই দায়ী করলেন আইনমন্ত্রী।

গেজেটে বলা হয়, এই বিধিমালা বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস শৃঙ্খলা বিধি মালা ২০১৭ নামে অভিহিত হবে। যেখানে পাঁচটি অধ্যায়ে বিধিমালাটি সাজানো হয়েছে। সেগুলো হলো,

০১. শিরোনাম, প্রবর্তন ও প্রয়োগ

০২. অভিযোগ, অনুসন্ধান ও বিভাগীয় মামলা রুজু

০৩. সাময়িক বরখাস্তকরণ ও উহার অবসান

০৪. দন্ড সমূহ

০৫. তদন্ত ও দন্ড আরোপ পদ্ধতি

অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচারণ বিধিমালার খসড়া নিয়ে আড়াই বছর সরকারের সঙ্গে টানাপোড়ন চলে বিচার বিভাগের। রাষ্ট্রপক্ষ মোট ২৮ বার সময় চেয়েছে।

যমুনা অনলাইন-এফআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply