হাসপাতালের টয়লেটে ১৫ ঘণ্টা ধরে অজ্ঞান রোগী!

|

গত ৩০ আগস্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন জাহান বক্স (৫৫)। তার সঙ্গে কোনো স্বজন ছিল না। তাই হাসপাতাল থেকেই ওষুধসহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছিল।

রোববার রাত ১০টার দিকে তাকে ওয়ার্ডে না পেয়ে পলাতক দেখান চিকিৎসকরা। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর সোমবার দুপুর ১টার দিকে হাসপাতালের তিনতলার পেয়িং ওয়ার্ডের টয়লেট থেকে তাকে উদ্ধার করেছে কোতয়ালি থানার এসআই মোখলেছুজ্জামান। পরে মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জাহান বক্স ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার রায়হান বকসের ছেলে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ৩০ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় একাই হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আসেন জাহান বক্স। চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা দেখে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।

পরে ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা তাকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তার আপন কেউ না থাকায় হাসপাতাল থেকে ওষুধ দেয়া হচ্ছিল।

রোববার রাত ১০টার পরে তাকে ওয়ার্ডে খুঁজে না পেয়ে ভর্তি টিকিটে পলাতক দেখান চিকিৎসকরা।

সোমবার দুপুরে ওয়ার্ডের সুইপাররা টয়লেট পরিষ্কার করতে গিয়ে দরজা বন্ধ পান। পরে দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিলে ভেতরে এক ব্যক্তি পড়ে থাকতে দেখে তত্ত্বাবধায়ককে জানান।

দুপুর ১টার দিকে কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে এসআই মোখলেছুজ্জামান তিনতলার পেয়িং ওয়ার্ডের টয়লেট থেকে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

এ ব্যাপারে ওয়ার্ড ইনচার্জ শারমীন বলেন, রোববার রাত থেকে রোগীকে চিকিৎসকরা বিছানায় পাননি। পরে সোমবার সকালে চিকিৎসকরা ওয়ার্ডে রাউন্ডে এসে তাকে না পেয়ে খাতা কলমে পলাতক দেখালে তার ভর্তি টিকিট ক্লোজ করে আলমারিতে রাখা হয়।

কোতয়ালি থানার এসআই মোখলেছুজ্জামান বলেন, কর্তৃপক্ষের সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতালের তিনতলার পেয়িং ওয়ার্ডের টয়লেটের দরজা ভেঙে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু জানান, কর্মচারীরা টয়লেটে এক ব্যক্তিকে দরজা ভেতর দিক থেকে আটকানো অবস্থায় মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে জানায়। তখন ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত মনে হওয়ার কারণে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। তারা ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।

তিনি বলেন, চিকিৎসকরা জীবিত দেখে দ্রুত তাকে চিকিৎসা দেন। দুর্বলতার কারণে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। বর্তমানে আগের তুলনায় অনেক সুস্থ আছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply