ইমামের কক্ষে মৃত তিন শিশুর শরীরে খুনের আলামত পাওয়া যায়নি

|

চাঁদপুর প্রতিনিধি:

মতলব দক্ষিণে কলাদী জামে মসজিদের ইমামের কক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া নিহত তিন শিশুর লাশের সুরতহাল রিপোর্ট এবং ময়না তদন্তের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে শরীরে কোন ধরনের খুনের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ডাক্তাররা।

এরপরই গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে ওই তিন শিশুর মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে শোকের ছায়া।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ভাঙ্গারপাড় বালুর মাঠে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে রিফাত ও ইব্রাহিমের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং রিফাতের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা নিজ বাড়ি উত্তর নলুয়া গোরস্তান জামে মসজিদে এবং ইব্রাহিমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা তার নিজ বাড়ি উপজেলার নাটশাল পাটোয়ারী বাড়ি জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাদের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আব্দুল্লাহ আল নোমানের লাশ তার পৈত্রিক বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার কালাই মুদাফাত গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তবে মৃতদের স্বজনদের পক্ষ থেকে কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি। শুক্রবার রাতেই ঢাকা থেকে সিআইডির ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ক্রাইম-সিন এনালাইসিস দল ও পিবিআই প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নমুনা নিয়ে গেছেন। লাশগুলোর ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেলে রহস্যের জট খুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গতকাল শনিবার ওই তিন শিশুর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল ও ডাঃ মনিরুল ইসলামসহ তিনজন ছিলেন।

ডাঃ রুবেলের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, লাশের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। এমনকি শরীরের ভেতরেও ওই ধরনের কোনও আলামত পাওয়া যায় নি। ধারণা করা হচ্ছে, ছোট্ট বদ্ধ রুমে বিষাক্ত কোনও গ্যাস ছড়িয়ে থাকায় এবং ঠিকমতো অক্সিজেন না নিতে পারায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এসিডের পানি পান করার যে বিষয়টি সন্দেহ করা হয় সেটিও নয়। এমন কিছু হলে মুখের ভেতরে তার আলামত পাওয়া যেতো। তিনি জানান, মারা যাওয়া তিন শিশুর রক্ত, হার্ট, কিডনি, পাকস্থলী এবং লিভারের অংশ চট্টগ্রাম ফরেনসিক বিভাগে এবং কুমিল্লা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। সেসব রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানোয় গাফিলতির জন্যে এক কনস্টেবলকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply