শিক্ষার্থীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ

|

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপ‌জেলার মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বুধবার গভীর রাতে বালুরমাঠে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ভিকটিমের বাবা (নজিরপুর গ্রামের মো. জামাল) বৃহস্পতিবার রাতে মহিপুর থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। ওই মামলায় মহিপুর থানা সদর ইউনিয়নের কমরপুর গ্রামের শাহ- আলম চৌকিদারের ছেলে অভিযুক্ত রাকিবুল (২০)সহ তিনজনকে আসামি করা হয়ে‌ছে। শুক্রবার ভোরে ভিকটিমকে পুলিশ উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী ২৫০শয্যা‌বি‌শিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।

মামলার বিবরনী‌তে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কমরপুর গ্রামের শাহ আলম চৌকিদারের ছেলে রাকিবুল ভিক‌টি‌মের দাদীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ভিক‌টি‌মের সা‌থে কথা বলত। এক পর্যা‌য়ে শিক্ষার্থী ও রাকিবুলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গ‌ড়ে ও‌ঠ । এর ধারাবাহিকতায় গত বুধবার রাত ২ টার দিকে ফোন দিয়ে ঘর থেকে বাইরে ডেকে নিয়ে যায় মামলার প্রধান আসামি। প‌রে নজিরপুর গ্রামের বালুরঘাট নামক স্থানে নিয়ে গিয়ে মামলার প্রথম আসামি রাকিবুল জোরপূর্বক ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। অপর দুই আসামি বাবু (২২) ও ওবায়দুল (২৪) ধর্ষণে সহযোগিতা করে এবং ওবায়দুল ধর্ষণের পর ওই রাতে তার বাড়িতে নিয়ে রাখে শিক্ষার্থী‌কে।

শিক্ষার্থীর বাবা জানান, বুধবার রাত থেকে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়ে বাড়ি ফিরে এসে তার দাদীসহ পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছে রাকিবুল তাকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। ওই দিনই স্থানীয় ইউপি সদস্য বিউটি ও রানীর সহযোগিতায় মহিপুর থানায় মামলা করেছি।

মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম জানান, রা‌তেই মামলা গ্রহণ করা হ‌য়ে‌ছে। ধর্ষকসহ অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply