নামাজের সময় দোকান বন্ধের আইন শিথিল করছে সৌদি!

|

সৌদি আরবে নামাজের সময়ে দোকানপাট বন্ধ রাখার আইন শিথিল হচ্ছে। গত মাসে সরকারের একটি নির্দেশনার ফলে দেশটিতে এখন নামাজের সময়ও বিভিন্ন মার্কেট খোলা থাকতে দেখা যায়। খবর ডেইলি সাবাহ আরবির।

‘কর্তৃপক্ষকে আর্থিক ভাতা প্রদানের বিনিময়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা যাবে’ এই মর্মে সৌদি আরব সরকার গত জুলাইয়ে একটি নির্দেশনা জারি করে। এ নির্দেশনার পরপরই আলোচনা ওঠে এর মধ্যে নামাজের সময়ও অন্তর্ভুক্ত কিনা?

দেশটির অধিকাংশ ব্যবসায়ীর মতে, সরকারের এ ঘোষণা নামাজের সময় দোকানপাট খোলা রাখার আইন চালু হওয়ার প্রচ্ছন্ন ইংগিত।

মঙ্গলবার আজান চলাকালীন রাজধানী রিয়াদের কয়েকটি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট খোলা দেখা যায়, যা সৌদি আরবে বিরল ঘটনা। আগে যেখানে আজানের সঙ্গে সঙ্গে কফি হাউজ, রেস্টুরেন্ট ও ব্যবসাকেন্দ্রগুলো দ্রুত বন্ধ করার জন্য পুলিশের তৎপরতা শুরু হতো। সেখানে আজানের পরও দেদারছে বেচাকেনা চলছে। বিষয়টিকে ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমানের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেখছে দেশটির নাগরিকরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন এ নির্দেশনার দ্বারা যদি নামাজের সময় দোকানপাট বন্ধ রাখার আইন শিথিল করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়, তাহলে এটি হবে সৌদি আরবের রক্ষণশীল পরিবেশে উদার একটি সংস্কার কাজ।

আর মঙ্গলবারের এ চিত্র সেটিরই ইঙ্গিত বহন করে। কারণ শুধু সরকারের সিদ্ধান্ত যাচাই করার জন্য দোকান-মালিকরা ঝুঁকি নিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠান খোলা রাখবে, এমন সম্ভাবনা খুবই কম।

রাজধানী রিয়াদের অভিজাত একটি রেস্টুরেন্টে মাগরিবের নামাজ চলাকালীন কাস্টমারদের সেবা দিতে দেখা যায়। পাইকার এক ক্রেতার কাছে হ্যামবার্গার বিক্রির সময় রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মালিকের পক্ষ থেকে ক্রেতাকে একটি চিঠি দিয়ে তাকে নিজের রেস্তোরাঁ খুলে রাখার অনুরোধ করেন।

চিঠিতে লেখা ছিল,‘দোকান, রেস্টুরেন্ট ও বাণিজ্যিককেন্দ্রসমূহকে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা, আর এই সিদ্ধান্তের মধ্যে নামাজের সময়ও অন্তর্ভুক্ত’।

এভাবে এশার নামাজের সময়ও দেখা যায় একই দৃশ্য। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পক্ষে-বিপক্ষে মানুষকে মতামত প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

সৌদি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নতুন এ নির্দেশনার ফলে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান বাবদ ১ লাখ রিয়াল খরচ করতে হবে। যার পরিমাণ অন্তত ২৭ হাজার মার্কিন ডলার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply