কাশ্মীরে নিপীড়নের প্রতিবাদে পদত্যাগকারী ভারতীয় কর্মকর্তা শাস্তির মুখে

|

সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেয়ার প্রতিবাদে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছিলেন ভারতের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। গত ৫ আগস্ট ভারতের পার্লামেন্টে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে মোদি সরকার। এতে বিশেষ মর্যাদা হারায় ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর।

এরপরই জম্মু-কাশ্মীরে দমন-নিপীড়নের প্রতিবাদে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের (আইএএস) কর্মকর্তা কান্নান গোপীনাথ। তিনি কেরালা রাজ্যের নাগরিক।

বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন কান্নান। তবে পদত্যাগের পর এখন বেশ বিপাকেই আছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আগে শোকজ নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। শোকজ নোটিশে কান্নানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে ৫টি কারণ দেখানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এরমধ্যে একটি হলো, কান্নান সাম্প্রতিক সময়ে তার রাজ্যে ভয়াবহ বন্যার সময় সেখানে গিয়েছিলেন, কিন্তু ফিরে এসে নিজের দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করেননি।

আইএএস অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন কান্নান।

পদত্যাগের কারণ জানিয়ে টুইটও করেছেন কান্নান।

জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করে তিনি লেখেন- ‘ভেবেছিলাম সিভিল সার্ভিসে যোগদান করে মানুষের বক্তব্য তুলে ধরতে পারব। মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করব। কথা বলতে পারব। কিন্তু এখন দেখছি আমার কণ্ঠই রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।’

পদত্যাগের পর ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি লেখেন- ‘আমি স্বরাষ্ট্র সচিব বা অর্থসচিব নই। আমার পদত্যাগে পরিস্থিতির বদল হবে না। কিন্তু আমার বিবেক স্বচ্ছ।’

কান্নানের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে তার এক সহকর্মী বলেছেন, ‘কাশ্মীরের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন ও অস্বস্তিতে থাকতেন কান্নান। তিনি বরাবরই বলতেন, মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ার অর্থ জরুরি অবস্থা জারি হওয়া। কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি আমি মেনে নিতে পারছি না।’


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply