ফরিদপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮ জনের লাশ হস্তান্তর

|

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

শনিবার দুপুরে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের ধুলদীতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৮ জনের পরিচয় সনাক্ত ও লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করেছে পুলিশ।

এই ঘটনায় ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ সহকারী পরিদর্শক সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইন চার্জ এএফএম নাসিম জানান, রাতেই নিহতদের স্বজনরা উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ স্বজনের মরদেহ সনাক্ত করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

নিহতরা হলো, বাসের সুপারভাইজার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী এলাকার মো. হানিফ মিয়া, ফরিদপুর সদর উপজেলার বিলমামুদপুর এলাকার মো. ওয়াহিদুজ্জামান, নড়াইল কালিবাড়ি এলাকার লিপি আক্তার, লড়াইল বনগ্রাম এলাকার আলী খন্দকার ও তার নাতী কেয়া আক্তার, কাশিয়ানীর শিবপুর এলাকার মো. আবদুল্লাহ, গোপালগঞ্জ কাঠিবাড়ি এলাকার মো. ফারুক হোসেন ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আসমা আক্তার।

দুর্ঘটনায় আহত ১৮ জন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে কমফোর্ট হাইওয়ে পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার পথে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের ধুলধী এলাকায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়। বাসটি একটি ইজিবাইককে সাইড দিতে গিয়ে সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে ব্রিজের রেলিং ভেঙে নিচের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ৬ জন। আহত ২০ জনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে ফায়ার সার্ভিস। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরও ২ জন।

করিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের চিকিৎসার খোজ খবর নেয়া হচ্ছে।

কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে এই দুর্ঘটনার সবই উদঘাটিত বলা যায়, তারপরও জেলা প্রশাসন থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply