মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোডে সন্ধ্যা হলেই মাদকের আসর

|

নগরীর মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোডের বি-ব্লকের মাঠ ও চারপাশে সন্ধ্যা নামলেই বসে মাদকের আসর। মাঠের চারপাশ, ভেতরে ও ওয়াসার নলকূপের পেছনে অবাধে চলে মাদক সেবন এবং বিক্রয়। হুমায়ুন রোডে বসবাসকারী বাসিন্দারা মাদকসেবীদের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিন-রাত অবাধে মাদক কেনাবেচা ও সেবন চলে। পাশেই জেনেভা ক্যাম্প হওয়ায় মাদককে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। গাঁজার গন্ধে সড়কে নাক চেপে চলতে হয়। আশপাশের বাসায়ও গন্ধে থাকা যায় না।

হুমায়ুন রোডের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্প (বিহারি) থেকে লোকজন এসে মাদক সেবন ও বিক্রয় করে। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে মাঠ থেকে মাদক কিনে নিয়ে যায়। ক্যাম্পের লোকজনকে এলাকাবাসী কিছু বললেই তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ কারণে এলাকার লোকজন কেউ কিছু বলে না।

সরেজমিন দেখা যায়, মাঠের চারপাশে দেয়া লোহার বেষ্টনী বেশ কয়েক জায়গায় ভেঙে তুলে ফেলা হয়েছে। এতে রাত ১২টার পর গেট লাগালেও মাঠে অনায়াসে ঢোকা ও বের হওয়া যায়। মাঠের একপাশে ওয়াসার গভীর নলকূপ রয়েছে। এর পেছনে সিগারেটের প্যাকেট, পোড়া কাগজ, সিগারেটের ফিল্টার পড়ে থাকতে দেখা যায়। হুমায়ুন রোডের বিভিন্ন বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গার্ডরা জানান, সন্ধ্যার পরে হুমায়ুন রোডের মাঠে লোকজনের জমায়েত শুরু হয়। এ মাঠের গভীর নলকূপের জায়গায়ই বসে মাদকের আসর।

সেখানে থাকা শহীদ মিনারের বেদিতে বসে চলে গাঁজা ও ইয়াবা সেবন। রাতে গাঁজার গন্ধ বাতাসে ভাসতে থাকে।

হুমায়ুন রোডের বাড়িওয়ালা আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমি এ এলাকায় ১০ বছর ধরে আছি। অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে সন্ধ্যা লেগে যায়। এখানে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব শ্রেণির লোকেরা মাদক সেবন করে।

নবীন সংঘের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন টুটুল বলেন, আগে আমরা সব সময় এ অফিসে বসতাম, তখন এরকম কিছু থাকলেও বাইরে ছিল, এখন আমরা নিয়মিত এখানে বসতে পারি না। পাশেই জেনেভা ক্যাম্প। কোনো কিছু হলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বের হয়ে আসে লোকজন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply